কলেজে সিগারেট খাওয়া নিষেধ ছিল, আর নিষিদ্ধ সব কিছুই ছিল খুব আকর্ষণীয়। যারা এই আকর্ষণীয় কাজটি করতে পারে তারা ছিল হিরো। ব্যক্তিগত ভাবে আমি এই বস্তুটি পছন্দ করতাম না। এখনো এর গন্ধ নাকে গেলে আমার মাথা ঘোরে। তাই বলে দুচার বার যে চেষ্টা করিনি তা না। যতটা নেশার টানে তার চেয়ে হিরোদের সঙ্গ পাবার লোভে। মেয়েদের সিগারেট খাওয়া আমার বিশেষ পছন্দের। কারণ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে এটা একটা প্রতিবাদ মনে হয়। তাছাড়া সাহসী মানুষও আমার পছন্দের, সাহসী মেয়ে আরো বেশি।
এইরকম একজন সাহসী নায়ক আমাদের মাহফুজ। ক্লাস নাইনে পড়ি। শুক্রবার সকাল। আমি বাথরুমে গেছি, প্রায় যখন শেষ, হাকিম ঢুকে আমার পাশের ইউরিনাল দখল করতে করতে বিরক্ত হয়ে বলল, “দেখতো মাহফুজ রুমে বসে সিগারেট খাচ্ছে, স্যাররা কেউ এলে নির্ঘাত গন্ধ পাবে! কি হবে বলতো?”
রুমে সিগারেট খাওয়া আসলেই একটা বোকামি, হাউস মাস্টারদের ঘ্রাণ শক্তি কুকুরের ঘ্রাণ শক্তির চেয়ে বেশি। এবং সবচেয়ে বড় বিপদ যখন স্যাররা জানতে চাইবেন কে সিগারেট খেয়েছে, কোনভাবেই নাম বলা যাবে না। এটা অলিখিত ক্যাডেট কোড। এই কোড অমান্য করলে মহাবিপদ। সুতরাং হাকিমের কষ্ট বোঝা যায়।
আমার মাথায় একটা ফন্দি খেলে গেল, বললাম লাল মুত পাওয়া গেলে ওকে একটা শিক্ষা দিতাম। হাকিম লাফিয়ে উঠে বলল আছে তো! আমারটাই ভয়ংকর লাল। দৌড়ে গেলাম আমার রুমে। ডেনিমের খালি বোতলটা হাতে নিয়েছি দেখি তারেক আমার বিছানায় শুয়ে।
আমি দেরি না করে হাকিমের কাছে গেলাম, যতটুকু নেয়ার নিলাম। ফেরার পর, তারেককে ডেনিমের বোতলটা দেখালাম। তারেকের পারফিউম, আফটার শেভ এসবের প্রতি তীব্র আকর্ষণ সর্বজন বিদিত। কিন্তু আমাকে হতাশ করে তারেক কোন আগ্রহ দেখালো না। আফটার শেভ বোতল লকারের উপর রেখে রুম থেকে বের হলাম। ক্লাসের অন্যরা ততক্ষণে জেনে গেছে ব্যাপারটা, ওরা ভিড় করেছে বারান্দায়।
ফয়েজ আর কে যেন গিয়ে মাহফুজকে খবর দেয়, “মোল্লা স্যার আসছে“, সেই সময় আমরা বিশ্বাস করতাম মোল্লা স্যার আজরাইলের ছোট সংস্করণ। এই স্যারকে নিয়ে প্রচুর লেখা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। আমার
ধারণা পালাগান কিংবা সিনেমা হওয়া খুবই উচিত।
মাহফুজ ভয়ংকর এক চিৎকার দিয়ে লাফালাফি শুরু করেছে ততক্ষণে। আর মুখে বলছে “আমি কি করব”, “আমি কি করব”……… তোরা কিছু কর। এই সময় আমি প্ল্যান অনুযায়ী হাজির হলাম ত্রাণকর্তা হিসাবে। ওকে বললাম আমার লকারের উপর আফটার শেভ আছে। ও একদৌড় দিয়ে আমার রুমে গেল। মজাটা হল ওখানে বোতল নেই! তারেক সেটি পাশে নিয়ে শুয়ে আছে!!
মাহফুজ তাড়াতাড়ি সেটি ছিনিয়ে নিয়ে হাতে, মুখে মাখতে আরম্ভ করল। তাড়াতাড়ি ঢালার কারণে চুয়ে পড়ছে আর তারেক দুইহাতে সেগুলো ধরার চেষ্টা করতে লাগল। এই জিনিসের অপচয় তারেকের মত মানুষ সহ্য করে কি করে? এদিকে আমরা আর কিছুতেই হাসি ধরে রাখতে পারছিলাম না।
এই সময় কোন শয়তান বলে বসলো “হারামজাদা মুখে দে“ মাহফুজ দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে মুখের ভিতরে দিতে থাকলো । আর তারেক যথারীতি প্রতিটি ফোটা ধরার চেষ্টা করছে। এই পর্যায়ে হাসি থামিয়ে রাখা আর সম্ভব হল না। আমরা হাসতে হাসতে মাটিতে গড়িয়ে পড়লাম। মাহফুজ প্রথমে হতভম্ব, মোল্লা স্যারের কোন বিষয় হাসি উদ্রেককারী হতে পারে না। এর কিছুক্ষণ পর সে তীব্র গন্ধ পেল।
………………………………………………..বাকিটা আপনারা অনুমান করে নিন।
I can’t remember the last time when I actually read something and literally laughed out loud. On top of everything, I remember hearing this story long ago… being true makes it all the more interesting. Keep up the great work!
Some memories are there that can never be denied. Keep it up Mahbub.
Today i am very happy that you have read the blog. These memories are like treasure, can’t forget, don’t want to forget.
I have been reading ur blogs from the very beginning. Hope you will bring the sweetest memories from those days.
I checked it again… it has been tempered intentionally…Thank you for your memories, but cant appreciate as you failed to mention the original story
Please mention the original one